আমি আপনার আসনের নিয়ামতপুর উপজেলার ২নং চন্দননগর ইউনিয়নের সুপ্রাচীন গোবিন্দপুর গ্রামের একজন বাসিন্দা। গ্রামটি মূল সড়ক ছাতড়া-বেণীপুর ও ছাতড়া-পুঙ্গী এর মাঝে হওয়ায় নানাদিক হতে অবহেলিত ও অলিখিত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীভুক্ত বলেই বিবেচিত। ইউনিয়ন হতে একটি কাঁচা রাস্তা আমাদের গ্রামের মাঝ দিয়ে ছাতড়া-বেণীপুর মূল সড়কের সাথে মিলিত হয়েছে। আমাদের গ্রামে কোনো স্কুল-মাদ্রাসা না থাকায় প্রায় ২ কিলোমিটার দূরত্বের স্কুল-মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতে যেতে হয়। রাস্তা ভালো না হওয়ায় মাঠের মাঝ দিয়ে স্কুল-মাদ্রাসায় যাওয়াটায় একমাত্র পথ হিসেবে বিবেচিত। আর এতে গ্রীষ্মের ধুলো-ঝড়, শীতের শিশির-কনকনে হাওয়া, বর্ষার বৃষ্টি-বাদলের কষাঘাত নিত্যদিনের সঙ্গী। যার দরুন এই গ্রামের ৯০% শিশু মাধ্যমিকের চূড়া উতরাতেই পারে না। এছাড়া গ্রামে কোনো যুব উন্নয়ন মূলকও কার্যক্রম নেই। ফলে বাল্যবিবাহ, নারীনির্যাতন,হিংসা-প্রতিহিংসা,কুসংস্কার, বেকারত্ব জেঁকে বসেছে।
আপনার কাছে বিনিত নিবেদন এই যে, উপরোক্ত আলোচনা বিবেচনাপূর্বক সুপ্রাচীন এই গ্রামের মাঝ দিয়ে যাওয়া অল্প একটু রাস্তা (চন্দননগর ইউনিয়ন বোর্ড থেকে বুধুরিয়া মোড় (মূল রাস্তা ছাতড়া-বেণীপুর) রাস্তা পর্যন্ত ২-৩ কিলো) রাস্তা পাকা করণ, গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও বাংলাদেশ যুব-উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় গ্রামের যুবসমাজকে অন্তর্ভূক্তিকরণের মাধমে অত্র এলাকার জনগণের অধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য আপনার সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। যাতে অত্র এলাকার জনগণও জননেত্রীর উন্নয়নে পরিপূর্ণ সফলতা আনতে সফল অংশীদার হতে পারে।
পরিশেষে, আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করে জানতে চাই, আমাদের গ্রামটির উন্নয়ন নিয়ে আপনার কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছিল কি ?
- নূর সালাম,
অধ্যয়নরত, মাস্টার্স (Pure Mathematics), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।