View Question 2188 views

Subject : ফসলি জমি ভেঙে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ প্রসংগে

Avatar

Written By : Md. Mustakim

বরাবর
মাননীয় সংসদ সদস্য, বগুড়া-৬

সালাম নিবেন। আমরা আপনার সংসদ আসনের বগুড়া সদর থানার শেখেরকোলা ইউনিয়ন অন্তর্গত বালাকৈগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। এ গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত থেকে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে । গ্রামের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বহমান করতোয়া নদীতে গত ৮-১০ বছর ধরে কিছু অসাধু বালি ব্যবসায়ী ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালি উত্তোলন শুরু করে। বালি উত্তোলনের ফলে নদীর দুপাশের ফসলি জমি বিপুল পরিমান ভেঙ্গে গেছে। এর ধারাবাহিকতায় স্থানীয় এনজিও সংগঠন নদী থেকে শক্তিশালী ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালি উত্তোলন শুরু করে এবং নদীর পাশের ফসলি জমি ভাঙতে থাকে। অনেক কৃষক নিরুপায় হয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন ফসলি জমি নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। অত্র এলাকার শেখেরকোলা ইউনিয়নের বালাকৈগাড়ী, শাখারিয়া ইউনিয়নের শাখারিয়া, বনমালীপাড়া, বারুইপাড়া , বাউলাপাড়া , নিশিন্দারার ইউনিয়নের ঠেঙ্গামারা, নওদাপাড়া মৌজার অন্তর্গত নদীর দু'পাশের ফসলি জমি, বসত ভিটা, হিন্দু শ্মশান সহ শত শত একর জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। স্থানীয় বসতি বাড়িঘর এখন ভাঙ্গনের মুখে। (প্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা স্ব শরীরে পরিদর্শন করার অনুরোধ করছি )

এই বিষয়ে নানা সময়ে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, বালু উত্তোলনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বর্গকে নানা ভাবে আমাদের সমস্যার কথা জানানো হলেও প্রয়োজনীয় স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। উল্টো এনজিও, বালি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এলাকার গরিব কৃষকদের ভয়ভীতি , মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় । প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোক দেখা কিছু অভিযান পরিচালনা করলেও কিছু দিনের ব্যবধানে আবারো তাদের বালি উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করে।
এতে নদীপাড়ের সাধারণ মানুষ , কৃষক আশাহত ও আতংকিত ও নিরুপায়। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আপনি বালাকৈগাড়ী, শাখারিয়া, বনমালীপাড়া, বারুইপাড়া, বাউলাপাড়া ,ঠেঙ্গামারা, নওদাপাড়া সহ আশেপাশের গ্রামের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর দুঃখ-কষ্টের কথা চিন্তা করে বালি উত্তোলনে বন্ধে এগিয়ে আসবেন।
উক্ত জনসমস্যার দ্রুত সমাধানকল্পে আপনার মাধ্যমে সরাসরি সরকারের হস্তক্ষেপ ও সাহায্য কামনা করছি।

অনুরোধে,
বালাকৈগাড়ী গ্রামবাসী।

অত্র এলাকার  জমি ভাঙ্গনের কিছু ছবি সংযুক্ত করছি ।