সিলেট পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট জমা দিতে হয় দালালের কাছে। কেউ যদি নিজে নিজে ফাইল প্রসেস করে জমা দিতে যায় তবে হতে হয় নানান হয়রানির শিকার। কোনটা দালালের আর কোনটা নরমাল এটা ফাইল হাতে নিয়েই ওরা বুঝতে পারে। ফাইলের প্রথম পৃষ্টায় যখন দেখে ছবি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সীল দ্বারা সত্যায়ন করা তখন ওরা বুঝতে পারে ওটা নিজে প্রসেস করা। তখন কিছু না বলে দেখবে কোথাও কাটাকাটি করা বা ফ্লুইড কালি দিয়ে মোছা কোনো লেখা আছে কি না যদি থাকে তবে এই ফাইল কোনোভাবেই গ্রহন করবে না। যদি একটা অক্ষরও ভুল পায় তাহলে বলবে ওটা কারেকশন করে চেয়ারম্যানের সীল স্বাক্ষর নিয়ে আবার অন্য দিন গিয়ে জমা দেওয়ার জন্য। মোটকথা বিন্দু পরিমাণ ভুলও ছাড় পাবে না। এখানে যদি আবার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সীল দেখে তবে তো কথাই নেই তাৎক্ষণিক ফিরিয়ে দিয়ে বলবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এলাও নাই। তাই বাধ্য হয়ে এখন সবাই দালালের কাছে জমা দেয়। কেউই আর নিজে নিজে প্রসেস করে জমা দিতে চায় না। আজ প্রায় সারাদিন অপেক্ষার পর একটা ফাইলও পাওয়া গেল না যেটা নিজে প্রসেস করে জমা দিতে এসেছে। সব ফাইল দেখা গেলো চ্যানেলে জমা দিতে আসা। নিজে প্রসেস করলে যেখানে একটা অক্ষর ভুলের জন্য ফাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয় সেখানে সম্পুর্ন ভুলে ভরা একটা ফাইলকে গ্রহন করতে তেমন একটা সময় নেননা পাসপোর্ট অফিসের কর্তারা। যার প্রমান এই ভিডিওতে। প্রতিটা ফাইলে ওরা পেয়ে থাকে ১০০০-১২৫০ টাকা।
এ তো গেল পাসপোর্ট অফিসের কথা। পাসপোর্ট অফিস থেকে যখন পুলিশ ভেরিফিকেশনর জন্য থানায় পাঠানো হয় তখন ডিএসবি ফোন করে পাসপোর্টের মালিককে থানায় নিয়ে আসবে। এখানে এসে ফোন দিলে বলবে অমুক রেস্টুরেন্টে অপেক্ষা করুন আমি আসছি। রেস্টুরেন্টে এসে এই ভুল সেই ভুল বলে স্বাক্ষর নিবে। তারপর বলবে অমুক ভুল তমুক ভুল তো ঠিক করে দিতে হবে এর জন্য খরচাপাতি আছে ওটা দেন। তার সাথে দড়াদড়ি করে সর্বনিম্ন এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ যা আদায় করতে পারে তা দিয়ে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন ছাড়াতে হয়। এই হলো একটা পাসপোর্টের হয়রানির নমুনা। তাছাড়া ২১ দিনে আসার কথা যে পাসপোর্ট সেটা আসতে এখন দুই থেক চার মাস পর্যন্ত সময় লাগে।